কেনো অর্গানিক লইট্টা শুঁটকি মাছ খাবেন?
রুচিবর্ধক খাবারগুলোর মধ্যে লইট্টা শুঁটকি মাছ অন্যতম। এতে ভিটামিন ‘ডি’ এর (সূর্যের আলোতে থাকে ভিটামিন ‘ডি’) পরিমাণ রয়েছে পর্যাপ্ত অনুপাতে। ভিটামিন ‘ডি’ হাড়, দাঁত, নখের গঠন মজবুত করার জন্য যথেষ্ট জরুরি। শরীরের জন্য উপকারী অনেক রকম খনিজ লবণ রয়েছে এই মাছে। খনিজ লবণ আমাদের রক্তশূন্যতা দূর করে, দাঁতের মাড়িকে করে দৃঢ়।
যাঁরা কঠোর দৈহিক পরিশ্রম করেন, তাঁদের জন্য এটি যোগ্য খাবার। এতে আয়রন, আয়োডিনের মাত্রা বেশি থাকার জন্য দেহে রক্ত বাড়ায়, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে শক্তিশালী, শরীরের হরমোনজনিত সমস্যাকে রাখে দূরে। শুঁটকি মাছ দেহে লবণের ঘাটতিও পূরণ করে। তাই দূর হয় দুর্বলতা।
লইট্টা শুঁটকি মাছে কোলেস্টেরল ও সেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড কম থাকে। তাই এটি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। লইট্টা শুঁটকি মাছে ক্যালরি কম থাকে। যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েট করছেন, তাঁরা প্রোটিনের উৎস হিসেবে এই শুঁটকি মাছ খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। কারণ এতে ক্যালরি কম থাকে।
১০০ গ্রাম শুঁটকি মাছ থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ প্রোটিন এবং ৩০০ ক্যালরি পাওয়া যায়। কিন্তু সমপরিমাণ গরুর মাংস থেকে প্রায় দ্বিগুণ ক্যালরি এবং তুলনামূলক কম প্রোটিন পাওয়া যায়।
ভালো মানের সতেজ মাছ কোনো কৃত্রিম প্রিজারভেটিভ ছাড়া শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে শুঁটকি মাছ হয় সম্পূর্ণভাবে একটি প্রাকৃতিক খাবার।
আমাদের অর্গানিক লইট্টা শুঁটকির বৈশিষ্ট্যঃ
✅সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা হয়।
✅আমাদের অর্গানিক শুঁটকিতে মাছের প্রকৃত রং থাকে এবং কোনো দুর্গন্ধ থাকে না।
✅অন্য শুঁটকির চেয়ে অপেক্ষাকৃত উজ্জ্বল ও বেশী চকচকে হয়।
✅শুঁটকিতে কোনো কেমিক্যালস বা লবনের ব্যবহার করা হয় না বলে শুঁটকি হালকা হয় এবং ওজনে বেশি ধরে।
✅স্বাদ ভাল থাকে। খাওয়ার সময় তিতা বা লবনাক্ত লাগেনা।
অর্গানিক লইট্টা শুঁটকি মাছে যেসব পুষ্টি উপাদান থাকে
প্রোটিন: আমরা জানি দেহের গঠন, ক্ষয়পূরণসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রোটিন একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। শুঁটকি মাছ উচ্চমানের প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়। শুঁটকি মাছের প্রোটিনে যে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, তা প্রায় ডিমের অ্যামিনো অ্যাসিডের সঙ্গে তুলনীয়।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: শুঁটকি মাছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
সোডিয়াম: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া নার্ভ ও মাংসপেশির সঠিক কার্যক্রমের জন্য সহায়তা করে।
পটাশিয়াম: এটি দেহের জন্য অপরিহার্য উপাদান। পটাশিয়াম দেহে পানির সমতা বজায় রাখে। সেই সঙ্গে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র, মাংসপেশি ও হৃৎপিণ্ডের সুষ্ঠু কার্যক্রমের জন্য এটি প্রয়োজনীয়
ফসফরাস: আমাদের হাড়, দাঁত ও ডিএনএ এবং আরএনএ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটি।
ভিটামিন বি১২: এটি স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সঠিক রাখে এবং লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে।
সেলেনিয়াম: সেলেনিয়াম শরীরে খুব কম পরিমাণে প্রয়োজন হয়। এটি প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এনজাইম তৈরিতে অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া দেহে কোষ ধ্বংস প্রতিরোধ করে।
নায়াসিন: নায়াসিন দেহে খাবার থেকে শক্তি তৈরি করে। এ ছাড়া স্নায়ুতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।